একদা এক মজলিসে এক যুবক এসে নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ,আমা কে
যিনা করার অনুমতি দিন।’একথা শুনে উপস্থিত সবাই
চমকে উঠলেন এবং তাকে তিরস্কার করতে
লাগলেন, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, (আদরের সহিত) আমার কাছে এসো,
সে কাছে এল।
বললেন, বসো, সে বসলো। এরপর (তার ঊরুতে
হাত রেখে) বললেন, ‘তুমি কি তোমার মায়ের জন্য
এটা পছন্দ করবে?’ সে বলল, না ইয়া রাসূলুল্লাহ।
আল্লাহ আমাকে আপনার প্রতি উৎসর্গিত করুন।
কোনো মানুষই তার মায়ের জন্য এটা পছন্দ
করবে না।’
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাহলে
তোমার মেয়ের জন্য?’ যুবকটি বলল, না, ইয়া
রাসূলুল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো
মানুষই তার মেয়ের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
নবীজী (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তোমার
বোনের জন্য?’ যুবক বলল, ‘না ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি
আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার
বোনের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে তোমার
ফুফুর জন্য? যুবক বলল,‘না ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আপনার
প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার ফুফুর জন্য এটা
পছন্দ করবে না।’
নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তোমার খালার
জন্য?’ যুবক বলল, না কক্ষনো না। আল্লাহ আমাকে
আপনার জন্য উৎসর্গিত করুন। কোনো মানুষই তার
খালার জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
এরপর নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার
শরীরে হাত রাখলেন এবং দুআ করলেন- ইয়া
আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করুন, তার অন্তর পবিত্র করুন
এবং তার চরিত্র রক্ষা করুন।
বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষার ফলাফল এই হল যে, পরবর্তী
জীবনে সে (রাস্তায় চললে) কোনদিকে
চোখ তুলেও তাকাত না।
- [মুসনাদে আহমদ ৫/২৫৬-২৫৭ ]
এই হাদীস থেকে শিক্ষা দেয় যে, একজন পুরুষ
যার সাথে যেনা করবে সে নিশ্চয় অন্য একজনের
মা, মেয়ে, বোন, ফুফু কিংবা খালা... তাই সে যেমন
নিজ মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালাদের কে
সম্মানের চোখে দেখে তেমন
যদি অপরের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু,
খালাদেরকেও সম্মানের সাথে দেখে তাহলে
সে এই অপরাধ করতে পারবেনা !
Saturday, December 22, 2018
- Blogger Comments
- Facebook Comments
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment