ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছি যে আল্লাহর
আদেশ মানলে জান্নাত পাবো আর না মানলে
জাহান্নাম। এই জান্নাত বা বেহেশত নিয়ে আমাদের
চিন্তার শেষ নেই। জান্নাত নিয়ে অনেক কৌতূহলও
হৃদয়ের মাঝে উদয় হয়। ওখানের জীবন কেমন
হবে, কী খাব, কেমন জীবনসঙ্গী পাবো
ইত্যাদি নানারকম বিষয় নিয়ে ভাবেন অনেকে।
সেই কৌতূহল নিবারণের জন্যই আমার আজকের
লেখা। জান্নাত সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাঠকরা
জানতে পারবেন।
মহানবী সা: জান্নাত সম্পর্কে কিছু তথ্য হাদিসে
বর্ণনা করেছেন। এখানে তার কিছু অংশ তুলে ধরা
হলো :
রাসূল সা:-এর উম্মতের মধ্য থেকে ৭০ হাজার বিনা
হিসেবে বেহেশতে যাবে। ( আহমদ, তিরমিজি,
ইবনে মাজাহ্, আবু ওমামা (রা:) )
যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের
পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন
অল্পসংখ্যক লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ
করবে। ( বায়হাকি)
জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে মিলিত হবে এবং
জান্নাতে তাদের রূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। (মুসলিম)
জান্নাতবাসিনী কোনো হুর ( নারী) যদি পৃথিবীর
দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত
হয়ে যাবে এবং আসমান জমিনের মধ্যবর্তী স্থান
সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার ওড়নাও
গোটা দুনিয়া ও সম্পদরাশি থেকে উত্তম। ( বুখারি)
জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া
ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম।।
( মুয়াত্তা)
জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরি ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু
থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা
ও রুপার। ( বুখারি ও মুসলিম)
জান্নাতিদের খাবারগুলো ঢেঁকুর এবং মিশক্ ঘ্রাণযুক্ত
ঘর্ম দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। (বুখারি ও মুসলিম)
জান্নাতিরা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে।
কোনো হতাশা ও দুশ্চিন্তা থাকবে না। তাদের
পোশাক পুরনো হবে না। ( মুসলিম)
জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবেন। তাঁরা বৃদ্ধ
হবেন না এবং তাঁরা হবেন চিরযৌবনা। ( মুসলিম)
জান্নাতে এমন এক দল প্রবেশ করবে যাঁদের
হৃদয় হবে পাখিদের অন্তরের মতো। ( মুসলিম)
পরিশেষে বলছি, এগুলোই যে পরিপূর্ণ তথ্য তা দাবি
করা যাবে না। ভবিষ্যতে হয়তো আরো জানা যাবে।
তবে যেটুকু উল্লেখ করলাম তা থেকেও পাঠকরা
হৃদয়ের পিপাসা খানিকটা হলেও মেটাতে পারেন।
লেখক : প্রবন্ধকার
Saturday, December 22, 2018
- Blogger Comments
- Facebook Comments
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment